সর্বশেষ

Saturday, 11 February 2023

আড়াইহাজারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১৫

আড়াইহাজারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১৫


তাঁরা হলেন সাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. নাহিদ মোল্লা, কর্মী মো. ফারুক, বাবু, সোহাগ, ফাহিম, মাসুম, যুবদলের হাবিবুর রহমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তানভীর আহমেদ। এ ছাড়া আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর আলম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৈয়দ আলী ও কনস্টেবল মো. আলমগীর আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিএনপি নেতা–কর্মীদের স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির নেতা–কর্মীরা পদযাত্রার নামে সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। এ সময় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। আমরা তাঁদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করি। তাঁরা অনুরোধ না শুনে পুলিশের ওপর চড়াও হন। তখন অ্যাকশনে যায় পুলিশ। বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা না হলেও পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে।’

সংঘর্ষের সময় পুলিশ রাইফেল দিয়ে গুলি ছোড়ে
সংঘর্ষের সময় পুলিশ রাইফেল দিয়ে গুলি ছোড়ে
ছবি: প্রথম আলো

শটগান ও রাইফেল থেকে গুলি ছোড়ার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আজিজুল হক বলেন, শটগান বা রাইফেল থেকে কোনো গুলি ছোড়া হয়নি।

জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান প্রথম আলেকে বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় পুলিশ অতর্কিত হামলার পর গুলি চালিয়েছে। তাঁরা রাবার বুলেটের পাশাপাশি শটগান ও রাইফেল দিয়ে গুলি ছুড়েছে। তবে কারও গায়ে গুলি লাগেনি। ছাত্রদল নেতা নাহিদ মোল্লাসহ কয়েক জনের শরীরে রাবার বুলেট লেগেছে।

কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে পাঁচরুখি বাজার থেকে সাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি পদযাত্রা শুরু করে। এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

লুৎফর রহমান আরও বলেন, পদযাত্রাটি শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ এতে হামলা করে। এ সময় তারা নেতা–কর্মীদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে দলের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। পরে তাঁদের স্থানীয় বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

মো. জাহাঙ্গীর আলম নামের পাঁচরুখি বাজার এলাকার একজন ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির মিছিলের সময় সড়কে সামান্য যানজট হয়। তখন পুলিশ এসে নেতা–কর্মীদের সরে যেতে বলে। এতে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় পুলিশও গুলি চালিয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় আধা ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

‘বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপণ্যসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি’র প্রতিবাদে এবং ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়া ও নেতা–কর্মীদের মুক্তি’সহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা করছে বিএনপি।

চট্টগ্রাম নগর পাঠদানের অনুমতি নেই, তবু শিক্ষার্থী ভর্তি

চট্টগ্রাম নগর পাঠদানের অনুমতি নেই, তবু শিক্ষার্থী ভর্তি

অননুমোদিত বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের বিষয়ে ষোলশহর পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভূপাল দাশ গুপ্তের দাবি, শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি নিয়েই এত দিন তাঁরা অনুমোদনহীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ও ফরম পূরণ করিয়েছেন। এ জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি বাড়তি মাত্র ১০০ টাকা করে নেওয়া হতো।

অনুমোদনহীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শুধু ষোলশহর পাবলিক স্কুলে নয়, নগরের অন্তত ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করা হয়। এ জন্য বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীপ্রতি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা বাড়তি নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এত বছর ধরে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোনো বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক বিপ্লব গাঙ্গুলী বলেন, এত দিন তথ্য গোপন করে বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী নিবন্ধন করাত। বোর্ড নানা সময় বিভিন্ন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে। কিন্তু কাজ হয়নি।

পাঁচ বিদ্যালয়ের চিত্র: শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, শর্ত পূরণ না করার কারণে চট্টগ্রাম নগরের শতাধিক বিদ্যালয়ের পাঠদান করার অনুমতি নেই। তবে এসব প্রতিষ্ঠান ঠিকই শিক্ষার্থী ভর্তি করে। পরে অনুমোদন আছে, এমন বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন ও এসএসসি পর্যায়ে ফরম পূরণ করানো হয়। আর এই সুযোগ নিচ্ছে বেশি কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ষোলশহর পাবলিক স্কুল ছাড়াও এ তালিকায় আছে পতেঙ্গা আইডিয়াল স্কুল, আলহাজ তাজুল ইসলাম উচ্চবিদ্যালয়, ছাফা মোতালেব হাইস্কুল, বাকলিয়া উচ্চবিদ্যালয়, হাস্‌নে হেনা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।

জানা গেছে, চলতি বছরের এসএসসি বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ফরম পূরণ শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরের দিকে। শেষ হয় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে। আগামী এপ্রিলে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এসএসসিতে ফরম পূরণের জন্য পতেঙ্গা আইডিয়াল স্কুলের নিজস্ব শিক্ষার্থী ছিল ৫১৫ জন।

তারা অন্য ৭ বিদ্যালয়ের আরও ২৯২ জনসহ মোট ৮০৭ শিক্ষার্থীর নিবন্ধনের জন্য শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছে। আলহাজ তাজুল ইসলাম উচ্চবিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষার্থী ৮৬ জন, তারা আরও ৫টি বিদ্যালয়ের ৩৪৩সহ ৪২৯ শিক্ষার্থীর নিবন্ধন জন্য আবেদন করে।

ছাফা মোতালেব হাইস্কুলের নিজস্ব শিক্ষার্থী ৯৯ জন, প্রতিষ্ঠানটি অন্য ৯টি বিদ্যালয়ের ৪১২ জনসহ ৫১১ শিক্ষার্থীর নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। অন্যদিকে বাকলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষার্থী ২৪৯ জন, তারা ১০টি বিদ্যালয়ের ৫০২ জন শিক্ষার্থীর নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।

বাকলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকের হোসেন বলেন, অনুমোদনহীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে তাঁরা নিবন্ধন ও ফরম পূরণ করিয়েছেন। এ জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়তি নেন।  ছাফা মোতালেব হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন বলেন, অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান এ কাজ করে আসছিল, এ জন্য তাঁরাও নিবন্ধন ও ফরম পূরণ করেছেন। তবে এখন থেকে আর করবেন না।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামরুল আখতার বলেন, তথ্য গোপন করে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ও ফরম পূরণের সুযোগ নেই। বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে

বিএনপির আন্দোলন এখন মরা গাঙের মতো, কোনো ঢেউ নেই: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির আন্দোলন এখন মরা গাঙের মতো, কোনো ঢেউ নেই: ওবায়দুল কাদের



 

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ওবায়দুল কাদেরছবি: প্রথম আলো

বিএনপির গণ-আন্দোলন গোপালগঞ্জের গরুর হাটে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের গতি দেখে ঘোড়াও হাসে, মানুষও হাসে। তারা এখন আহত অবস্থায় ভয়ে ভয়ে পদযাত্রার কথা বলছে। খবর নিয়ে দেখুন, কয়টা ইউনিয়নে এই পদযাত্রা হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন এখন মরা গাঙের মতো। এতে কোনো ঢেউ নেই।’

আজ শনিবার সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পৌর শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন হয়। দুপুর ১২টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বিএনপির এখন জ্বালার শেষ নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হিংসা করে লাভ নেই। অনেক জ্বালা অনেকের ভেতরে। বিএনপির এখন জ্বালার শেষ নেই। গ্রাম শহর হয়ে যাচ্ছে এই জ্বালা। পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালা, শত সেতুর জ্বালা, বঙ্গবন্ধু টানেলের জ্বালা, জ্বালার শেষ নেই। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন, বাংলাদেশের রূপান্তর ঘটিয়েছেন, এইটা তাদের আরও বড় জ্বালা।’





আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত। খেলা হবে সামনাসামনি। আমরা ভোটচোরদের চিহ্নিত করব। আমরা মাঠে আছি, রাজপথে আছি। বিএনপি তলেতলে কী কৌশল করছে, আমরা জানি। এবার আগুন–সন্ত্রাস করলে হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’

বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি পানি ঘোলা করে আসবে। না এসে উপায় নেই। গত নির্বাচনেও তারা এসেছিল। তারা নির্বাচনে জিতবে পারবে না। আমাদের নেত্রী ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। জনগণ যে রায় দেবে, আমরা সেই রায় মেনে নেব।’

বিএনপিকে পাল্টাপাল্টি না করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। নির্বাচনের আগপর্যন্ত প্রতিদিনই সমাবেশ হবে। আওয়ামী লীগ সমাবেশের ডাক দিলে মহাসমাবেশ হয়। আর বিএনপি মহাসমাবেশের ডাক দিয়ে সমাবেশও করতে পারে না। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কোথাও বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি।’


জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক; কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী; কেন্দ্রীয় কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান; কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুশফিক হোসেন চৌধুরী, আজিজুস সামাদ আজাদ; সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক; সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন; সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তা; সুনামগঞ্জ ও সিলেট সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বেলা সোয়া দুইটায় তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি হিসেবে নুরুল হুদা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নোমান বখতের নাম ঘোষণা করেন।

সম্মেলনে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল, পারেনি। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা করেছিল। সেই বিএনপি বড় বড় কথা বলে। বিএনপিকে মাঠেই মোকাবিলা করা হবে। সাপকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু বিএনপি-জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না।’

এর আগে সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন হাজারো নেতা-কর্মী। দুপুরের আগেই পুরো মাঠ নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতিতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। ওই সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন মতিউর রহমান ও এনামুল কবির ইমন। এবার ওবায়দুল কাদের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার আগে মতিউর রহমানকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং এনামুল কবিরকে জাতীয় পরিষদ সদস্য হিসেবে ঘোষণা দেন।